খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

ক্ষুধার্ত কুকুরের আক্রমণ : শতাধিক গৃহপালিত প্রাণির মৃত্যু

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাটের চিতলমারীতে গত এক মাসে ৫০০ গৃহপালিত প্রাণি (ছাগল ও হাঁস-মুরগি) ক্ষুধার্ত কুকুরের আক্রমনে আহত হয়েছে। আক্রমনে মারা গেছে কমপক্ষে শতাধিক ছাগল ও হাঁস-মুরগি। শনিবার (২৫ মার্চ) দুুপুরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আহম্মেদ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাঁর ভাষায়, এখনই কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও খাবারের ব্যবস্থা না করলে সামনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।

চিতলমারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এখানে ৪০টি গরুর, ২৬টি ছাগলের ও ১২০টি হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। খামারে কয়েক হাজার গৃহ পালিত প্রাণী আছে। এছাড়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে খোলাভাবে মানুষ গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করছেন। এ খোলা ভাবে পালিত প্রাণীগুলো ক্ষুধার্ত কুকুরের আক্রমনের শিকার হচ্ছে। অফিস বন্ধের দিনসহ প্রায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি করে আক্রমনের শিকার আহত ছাগল হাসপাতালে আসছে। আর হাঁস-মুরগি বেশীর ভাগ কুকুরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কুকুরের আক্রমনে এ পর্যন্ত ৩০টি ছাগল ও ৭০টির বেশী হাঁস-মুরগি মারা গেছে।

উপজেলার শিবপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম, সুরশাইল গ্রামের আসমা বেগম, শেখ সাখিল সুলতান, চিতলমারী সদরের আরিফুল, কচুড়িয়ার মোঃ রুহুল আমিন, আড়–য়াবর্নীর ইমদাদুল হক, কহিনুর আক্তার, ব্রহ্মগাতির শামিম শিকদার, কাঠিপাড়ার আনিচুর রহমান ও কলিগাতির হাবিবুর রহমানসহ অনেকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কুকুর গুলো হিং¯্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি তাঁদের প্রত্যেকের ছাগল কুকুরের আক্রমনে শিকার হয়। আক্রমনের শিকার বেশীর ভাগ ছাগল মারা গেছে। এছাড়া প্রতিদিন দল বেধে কুকুর এসে হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আহম্মেদ ইকবাল বলেন, ‘পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে কুকুর গুলো হিংস্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই ক্ষুধার্ত কুকুরের আক্রমনের শিকার অসংখ্য ছাগল হাসপাতালে আসছে। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। গলায় আক্রমের শিকার ছাগল গুলো মারা যাচ্ছে। এখনই কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও খাবারের ব্যবস্থা না করলে সামনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!