জাল কাগজপত্র দাখিলের মাধমে ১ কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ টাকা উত্তোলনসহ আত্মসাতের মামলায় তৌহিদ মাসফু বাবু ওরফে তানলিনা মাসফু ওরফে তানজিল মাসফু ওরফে তানভির মাসফু ওরফে তৌহিদ মাহমুদ ওরফে তারভির মাসফুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর জামিন চাইলে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার তার আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তিনি ৪৬ নং লোয়ার যশোর রোডের বাসিন্দা মাসফুউর রহমান ওরফে মাহমুদ আলী ওরফে এম রহমানের ছেলে। খুলনা শিপইয়ার্ডে অক্সিজেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পিপি খন্দকার মজিবর রহমান।
২০০৪ সালের ২ আগস্ট উক্ত টাকা আত্মসাতের প্রতিবেদন জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর জনতা ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখার ডিজিএম মনোয়ারা আমিনের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি ওই দিন খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ডিজিএম মনোয়ারা আমিন বর্ণিত মামলায় পরস্পর যোগসাজেশে রয়েছে বিধায় বাদীনি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় এফআরটি দাখিলের সুপারিশ করেন। কিন্ত তৎকালীন র্যাব-৬ এর খুলনার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক এস এম এনামুল হক নিজে বাদী হয়ে মনোয়ারা আমিনসহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন, যার নং ৬।
২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সজেক যশোরের উপ পরিচালক মো: জাহিদ হোসেন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ