খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের জিরানিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শুরু আজ
  সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

গেজেট ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’- এর ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, তবে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে, এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে; প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা পদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় কোটা পদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করো একসাথে’, ‘ঝড় বৃষ্টি আধার রাতে, আমরা আছি রাজপথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া বিক্ষোভ চলাকালে বিখ্যাত কবিদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কবিতা ও সংগ্রামী গান পরিবেশন করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বুঝার দরকার নেই। দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।’

আন্দোলনে আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোনো প্রকার কোটা রাখা যাবে না। আমরা কোটা দিয়ে কামলা না, মেধা দিয়ে আমলা চাই। আমাদের এ সোনার বাংলায় কোটা ব্যবস্থার ঠাঁই নাই। দাবি আদায় নাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে।’

গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!