কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তেতুলের খাটিয়ার কদর বেড়েছে বাগেরহাটে। শহরের বিভিন্ন স’মিল, কাঠ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মুদি দোকান ও লোহার দোকানীরাও বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী হিসেবে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। আকার ভেঁদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি খাটিয়া। বাগেরহাটের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীরা এই খাটিয়া পাঠাচ্ছেন ঢাকাসহ বড় বড় শহরে।
কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল বলেন, কোরবানি আসলেই তেতুল কাঠের চাহিদা বেড়ে যায়। এবছর লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতিতে বেশ ভাল চাহিদা ছিল। সাড়ে চাশ টাকা দড়ে প্রায় চারশ সিএফটি (এক সিএফটি=১২ ইঞ্চি/১২ ইঞ্চি) গোল তেতুলের কাঠ পাঠিয়েছি ঢাকাতে। এছাড়াও পাঁচশ পিচ খাটিয়া পাঠিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতেও মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। শুধু মোঃ সোহেল নয়, বাগেরহাটের আরও অনেক ব্যবসায়ী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে তেতুল কাঠ পাঠিয়ে থাকেন কোরবানির সময়।
বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, কোরবানি আসলেই বেশকিছু পণ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে তেতুলের খাটিয়া অন্যতম। কোরবানির গরুর গোশত বানানোর জন্য আমরা ৭শ টাকা দিয়ে দুটো খাটিয়া ক্রয় করেছি।
বাগেরহাট শহরের ছোটকবর খানা মোড়স্থ মৌসুমি খাটিয়া ব্যবসায়ী বাদশা হাওলাদার বলেন, চা ও পানের দোকানের পাশাপাশি কোরবানির সময় আমি তেতুলের খাটিয়া বিক্রি করি। কোরবানির এক সপ্তাহ আগে থেকে গৃহস্থরা এই খাটিয়া ক্রয় শুরু করে। কোরবানির একদিন আগে সব থেকে বেশি বিক্রি হয়। আকার ভেঁদে সাড়ে তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা পিচ বিক্রি করছি। বছরে একবার ক্রয় করতে হয়, তাই মানুষে বেশি দরদাম করেন না।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি