খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ চিকিৎসকের পদ শূণ্য, সেবা পেতে ভোগান্তি

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দিন দিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

যশোর জেলা সদরের ৩৩ কিলোমিটার দূরে কেশবপুর উপজেলা শহরটি অবস্থিত। উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও কেশবপুর উপজেলা শহর হতে উত্তর পার্শ্বে মণিরামপুর উপজেলা, পশ্চিমপাশে কলারোয় উপজেলা, দক্ষিণপাশে তালা থানা ও পাটকেলঘাটা উপজেলা এবং পূর্ব পাশে ডুমুরিয়া উপজেলাগুলি কেশবপুর উপজেলার চতুর্সীমায় অবস্থিত। যার কারণে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য এই সকল উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম সমূহের জরুরি রোগীদের কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যার কারণে এই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় সার্বক্ষনিক লেগেই থাকে। ডাক্তার স্বল্পতার কারণে রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

কেশবপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ হলো ৩১ টি। এর মধ্যে ২০ জন তরুণ চিকিৎসক থাকলেও ১১ জন কনসালটেন্ট এর পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য।

বৃহস্পতিবার কেশবপুর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে বর্হিবিভাগে দেখা গেছে ডাক্তারের স্লিপ নেওয়ার জন্য রোগীদের লম্বা লাইন।

সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর হতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন ৬ হাজার ২৩৫ জন। এর মধ্যে ২৬ নভেম্বর বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন ৩৪৪ জন। বিপুল সংখ্যক রোগীদের উপস্থিতির কারণে অল্প সংখ্যক ডাক্তারদের উপস্থিতিতে একজন ডাক্তারকে প্রতিনিয়ত ২শ’ থেকে আড়াইশ’ রুগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয় যা সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। এছাড়াও আন্ত বিভাগে গত ২২ দিনে রোগী ভর্তি হয়েছে ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭৩, মহিলা রোগী ২৪৮ জন। ২৬ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিলো ৫২ জন। এছাড়াও গত ২৬ দিনে অপারেশন থিয়েটারে সিজার হয়েছে ১১ জন রোগী।

এদিকে প্যাথলজী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর ৩৪টি রোগীর বিভিন্ন টেস্ট করানো হয়। যার কারণে পহেলা নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্যাথলজী বিভাগ হতে সরকারের রাজস্ব ফান্ডে জমা হয়েছে ৫০ হাজার ১০ টাকা।

কেশবপুর হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগের যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগী নিয়ন্ত্রক সহকারি নাজমূল করিম আক্ষেপের সঙ্গে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কেশবপুর যতটা ঝূঁকিপূর্ণ নয় তার থেকে অধিক ঝূঁকিপূর্ণ যক্ষা রোগী। গত ১১ মাসে এই হাসপাতালে যক্ষা রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ৪৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন রোগীর। অথচ গত ৮ মাসে সারা বিশ্বে করোনার এত ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও কেশবপুরের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা ঝূঁকিপূর্ণ ছিলো না। সেক্ষেত্রে করোনা নিয়ে সরকারের যতটা স্বদিচ্ছা ও গুরুত্ব দেখা গেছে যক্ষার ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্ব নেওয়া উচিৎ।

এ ব্যাপারে কেশবপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কেশবপুর হাসপাতালটি ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রোগীর ভিড় সব সময় লেগেই থাকে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকার পরও অধিকাংশ সময়ে ৭০ থেকে ৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। যার কারণে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের জনবল কাঠামো প্রয়োজনমত থাকা দরকার।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!