যশোর কেশবপুরের রায়হান মেশিনারিজে ডাকাতির ঘটনায় আটক ট্রাকের হেলপার আলামিন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকারাম হোসেন আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আলামিন বরগুনা জেলার আমতলী দক্ষীনপাড়া গ্রামের মনির গাজির ছেলে। ট্রাক চালক রেজাউলের নেতৃত্বে সেদিন তারা ৬/৭ জন ডাকাতি করেছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
আলামিন জানিয়েছে, সে পটুয়াখালির মিজানুর রহমানের ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল। এ ট্রাকের ড্রাইভার ছিল রেজাউল। রেজাউল ভালো লোক ছিল না। মাঝে মধ্যে সে লোকজন নিয়ে চুরি করত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে ও রেজাউল ট্রাকে মাল নিয়ে যশোর আসে। এরপর রেজাউল তার কয়েকজন সহযোগীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে। রাতে কেশবপুরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় একটি মেশিনারিজের দোকানের সামনে ট্রাক থামায়। এসময় দুইজন নৈশ প্রহরী এগিয়ে আসলে তাদের ধরে মুখ বেধে রাখা হয়। এরপর দোকানের তালা ভেঙ্গে ব্যাটারি, পানির মটর, সিন্দুক ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি করা মালামাল তারা বাগেরহাটের কচুয়া বাজারের পাশের এক মাস্টারের বাড়িতে নামিয়ে দেয়। এরপর তারা দুই জন যশোর এসে মাল লোড দিয়ে আবার পটুয়াখালি ফিরে যায়। এ ঘটনার সাথে তারা ৬/৭ জন জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল ডাকাত দুই নৈশ প্রহরিকে বেধে কেশবপুরের রায়হান মেশিনারিজ দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুট করে। ডাকাতরা সার্টারের তালা ভেঙে নগদ টাকা, ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক মটর ও একটি লোহার সিন্ধুকসহ ৬ লাখ ২২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক আসিফ রায়হান কেশবপুর থানায় ডাকাতি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে আলামিনকে আটক করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে।
রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আলামিনকে আদালেেত সোপর্দ করলে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম