কেশবপুরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার কারণে কুরবানির পশু বিক্রি করা নিয়ে খামারিরা পড়েছে বিপাকে। লোকসানের চরম আশঙ্কায় রয়েছে তারা।
কেশবপুর পশুসম্পদ কার্য্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৭৮ টি গরু পালনকারি রয়েছে। তারা কুরবানির পশুরহাটে গরু বিক্রি করে অধিক লাভবানের আশায় পশু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচীর আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে পশু পালন করে। কেশবপুর উপজেলায় ৩ হাজার ১শ’ ৭৮টি কুরবানির উপযুক্ত গরু পালনকারীদের নিকটে আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ছাগল আছে ৬ হাজার ৬শ’ ৩টি যার মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট কেশবপুরে ৩১ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকার কুরবানির উপযুক্ত গরু-ছাগল রয়েছে।
এইসমস্ত পশুপালনকারীরা ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে নিজ গৃহে পশুপালন করে আসছে। এরমধ্যেই উপজেলার বেলকাটি গ্রামের আঃ জব্বারের একটি গরু যার মূল্য ৮ লাখ টাকা, কালীচারণপুর গ্রামের দীপক রায়ের দু’টি গরু একটি ৭ লাখ ও একটি ৬ লাখ টাকা বিক্রয় মূল্যের গরু রয়েছে।
তারা জানান কুরবানির হাটে বিক্রি করে অধিক লাভের আশায় গরু পালন করে আসছি। এদিকে ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত নরিম সানার পুত্র অশোক সানা ৭টি গরু পালন করে। মূলগ্রামের মিন্টুর একটি খামারে ১৫ টি গরু রয়েছে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পাড়ার কারণে লকডাউন চলাকালে পশুর হাটগুলি বন্ধ থাকায় লোকসানের চরম শঙ্কায় রয়েছে তারা। তারা লোনের টাকা পরিশোধ করবে কিভাবে সেই চিন্তায় দিশেহারা।
কেশবপুর উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রকাশ কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, দেশে করোনা মহামারির কারণে ব্যবসায়িরা পশুপালনকারিদের সাথে কোন যোগাযোগ করছে না। তবে তাদের গরু-ছাগল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করানোর জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সুবিধার জন্য ‘যশোর অনলাইন পশু বিক্রির হাট’ নামে একটি ওয়েবসাইটে পশুর ছবি দিয়ে করে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশুপালনকারীদের অনলাইনে পশু বিক্রিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে ।
খুলনা গেজেট/ টি আই