কেশবপুরে একঝাঁক তরুণদের প্রচেষ্টায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন বেকারত্ব দূরীকরণে সামাজিক উন্নয়ন কার্যত্রুমে কেপিএস ০৩ এগ্রোভ্যালী উজ্জ্বল দুষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।যা দিনে দিনে ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। সামাজিক ও বেকারত্ব দৃর করনের জন্য কেশবপুর পাইলট স্কুলের ২০০৩ সালের এসএসসি ব্যাচ এর ৩২ জন বন্ধু মিলে ২০১৮ সালের জুন মাসে একটা সংগঠন গড়ে তোলে।
তিলে তিলে গড়া সংগঠনটি মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।ভাগ্যবদল হয়েছে অনেকের জীবনে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেংগল, ছাগল, দেশি বুনো বা জালালী কবুতর, লেবু গাছ সহ হাজার খানিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কিছু রকমারী ফলের গাছ,ঘাস ও কিছু কৃষি প্রজেক্টের কাজ বর্তমান চলমান রয়েছে। সংগঠনটিকে প্রাতিষ্ঠানিক একটা রুপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তর থেকে ২০১৯ সালে কেপি এস ০৩ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমাবায় সমিতি নামে রেজিষ্টেশন নেয়। এই একঝাঁক তরুণের প্রথম স্বপ্ন
ছিল এলাকার মানুষের তথা কেশবপুর ও এর আশে পাশের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণ যেটা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার ব্রক্ষকাটি গ্রামে একটা সমন্বিত খামার স্থাপন করে যার নামে কেপিএস ০৩ এগোভ্যালী সদস্যের জমানো ক্ষুদ্র অংকের মুলধন নিয়ে ১০ বছরের জন্য ৮৫ শতাংশ জমি লীজের মাধ্যমে কেপিএস ০৩ এগ্রোভ্যালীর যাত্রা শুরু করে।
ইতিমধ্যে ৪জন মানুষের বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। এলাকায় বৃক্ষরোপণ করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন কার্যত্রুম সবার নজর কেড়েছে। যার কারণে সংগঠনটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
সংগঠন ও সমন্বিত খামার সপর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সার্বিক তত্বাবধায়ক আশীষ দে বলেন, ‘যে মুনাফা অর্জন আমাদের লক্ষ্য না। বরং এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার প্রত্যয় প্রায় যোগাযোগ বন্ধ হওয়া বন্ধুদের একটা প্লাটফর্মে নিয়ে এসে মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এই সংগঠন ২ টির সৃষ্টি।’
কেপিএস ০৩ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বাদশা সোহাগ বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে ভালো কিছুর জন্য এগিয়ে যেতে চাই, মানুষের জন্য কিছু করতে চাই এবং অন্যান্য সিনিয়ার জুনিয়ার বন্ধুরেকেও এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে চাই। আমাদের মত সবাই যদি এ সব কাজে এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের গ্রামকে যেমন বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা করতে পারবে, তেমনি গ্রামের উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে পারবে।’
কেপিএস -০৩ এগ্লোভ্যালী সম্পর্কে আরো জানা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে । অদূর ভবিষ্যাতে বৃহৎ পরিসরে উন্নত জাতের ছাগল উৎপাদন, গরু পালন, হাস এবং মুরগী পারনের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাকশনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এলাকার একঝাঁক উদ্যোমী তরুণদের উদ্যোগ যেমন বেকারত্ব লাঘব ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। তেমনি এ ধরণের কার্যকক্রম আরো উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরো এগিয়ে যাবে এই উদ্যোক্তারা আশাবাদী।
খুলনা গেজেট/এনএম