চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) জন্য সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে নতুন মুদ্রানীতি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করবেন।
এতে আরও বলা হয়, গভর্নর মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার ক্ষেত্রে বর্তমান এমপিএসর ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। ডেপুটি গভর্নররা, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটর (বিএফআইইউ) প্রধান, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়া ড. আহসান এইচ মনসুর প্রথমবারের মতো মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।
জানা গেছে, নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায়ও বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। মূলত মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে আসা এবং রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল থাকায় এমন নীতি ঘোষণা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা এবং রিজার্ভ বাড়ানোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় গত বছরের ১৮ জুলাই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংবাদ সম্মেলন না করে কেবল ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র দেয়া হয়।
নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদি ধারে ব্যবহৃত রোপোর সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তিন দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বেড়ে এখন ১৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এরপরও মূল্যস্ফীতি না কমায় আরেক দফা নীতি সুদহার বাড়ানোর আলোচনা ছিল। তবে সর্বশেষ হিসাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ কারণে আপাতত নীতি সুদহার বাড়ানো হবে না। অবশ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় সুদহার না বাড়িয়ে বরং কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনা গেজেট/এনএম