খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩
  এনবিআরে তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে ফেরার আহবান, অন্যথায় ব্যবস্থা : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

কৃষিতে গুচ্ছ : খুলনা অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা ঢাকায়, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৩ হাজার ৫৩৯টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছে ৭৯ হাজার ১৫৯ জন। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলেও ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকায়। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে প্রত্যেক অভিভাবককে গুনতে কয়েক হাজার টাকা। ফলে আবেদন করেও খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, দেশের ৩টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষায় খুলনায় আসন পড়েছিলো প্রায় ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আসন ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে। যার কারণে খুলনা অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

অথচ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় খুলনায় আসন পড়েছে মাত্র ১ হাজার ৯০০টি। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা থেকে আবেদন করেছেন প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী। অর্থ্যাৎ খুলনা অঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ঢাকায় গিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অভিভাবক এস এম আতিয়ার রহমান বলেন, তার মেয়ে খুলনায় থেকেই ঢাকা ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন পড়েছে ঢাকায়। মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া, একদিন থাকা-খাওয়া কম করে হলেও ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হবে। এই দুর্মূল্যের বাজারে এই টাকা খরচ করা সম্ভব না।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের নারকেলতলার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও খুলনায় হবে ভেবে মেয়েকে আবেদন করতে বলি। কিন্তু পরে দেখি ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। আগে জানলে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে আবেদনই করাতাম না।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার জানান, আমাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ১ হাজার ৯০০ জন পরীক্ষা দিতে পারবে। বাইরের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাসহ নানা বিষয় জড়িত। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কোনো আসনই পায়নি।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সভাপতি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, এ বছর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাইরের ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। যার কারণে অধিকাংশ আসনই ঢাকায় পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এতোটুকু কষ্ট তো করতেই হবে। আগে তো ৭/৮ জেলায় ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিতে হতো। এখন একদিন ঢাকায় আসতে সমস্যা হবে না।

তবে নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন, ঢাকা ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি বাইরের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে কৃষিতে সমস্যা কী? ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা যাদের কাছ থেকে নেওয়া হলো আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে তাদের সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

খুলনা গেজেট/ হিমালয়/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!