খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি অযৌক্তিক : শিক্ষা উপদেষ্টা

কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাপান যাবেন প্রধানমন্ত্রী

গেজেট ডেস্ক

চলতি বছরই দু্ই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সফরের অংশ হিসেবে জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভিত্তির ওপর সেতু তৈরি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সদ্য প্রয়াত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাই জাপান এখন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে জাপান সফর নিয়ে ‘স্বাগত বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দুই দেশের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর করেন। সেই সফরে আমি ছিলাম। তার কয়েক মাসের মাথায় শিনজো আবে (জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশ সফরে আসেন।’

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘২০১৯ সালেও জাপান যান প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরেও সফরসঙ্গী ছিলাম। বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ৫০ বছরে এসে আমরা পরিকল্পনা করছি, প্রধানমন্ত্রী বা ভিভিআইপি লেভেলের আরেকটি সফর করার। এটা খুব শিগগিরই।’

শাহরিয়ার আলম মনে করেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব বাংলাদেশকে জাপানের মতোই উচ্চ আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হতে সহযোগিতা করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাপান বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে।’

দুই দেশের শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের প্রভাবের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিও।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু জাপান সফরে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে জাপানের সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি যমুনা নদীর ওপর একটি সেতু তৈরিতেও জাপানের বিশেষ সাহায্য চেয়েছিলেন। তার কন্যা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে সেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন।

নাওকি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের অনেকগুলো বড় উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এ বছর ডিসেম্বরেই মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। যেখানে বিপুল বৈদিশিক বিনিয়োগ হবে।

এ ছাড়া যমুনা নদীর ওপর একটি স্বতন্ত্র রেলসেতুও তৈরি হচ্ছে। পুরোদমে চলছে হযরত শাহাজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজও।

নাওকি বলেন, ‘জাপান তার ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক করিডোরের অন্যতম পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে পাশে চায়। ফ্রি ও ওপেন ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তেও বাংলাদেশকে পাশে চায় জাপান।’

এ সময় তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জাপানের মতৈক্য ছিল বলেও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আসুন আমরা ২০২২ সালকে সত্যিকার অর্থে স্মরণীয় এবং আরেকটি যুগ সৃষ্টিকারী বছর করতে একসঙ্গে কাজ করি।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাপান সরকারের তৈরি একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের ৫০টি স্মরণীয় ছবিসহ একটি ফটো অ্যালবাম হস্তান্তর করেন ইতো নাওকি।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন রওশন আরা মান্নান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন ওয়াসেকা আয়েশা খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকা, জেট্রো এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী জাপানি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/এমএনএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!