খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের কর্ম, আদর্শ ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে এদেশের মানুষের কাছে চির অম্লান হয়ে থাকবেন। তাঁদের আদর্শ ও আত্মত্যাগ আমাদেরকে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করবে। বুদ্ধিজীবীরা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে কাজ করে গেছেন আমরা যদি তাঁদের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করি তাহলে তাঁদের প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
মঙ্গলবার(১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ছাত্র-কল্যাণ এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর মোঃ গোলাম কাদের, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. কাজী আবু বকর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
এসময় শিক্ষকদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান ও প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন) জি এম মনিরুজ্জামান, ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক, মাষ্টাররোল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরুল ইসলাম আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
কুয়েট বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে।
কর্মসূচির মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা (অর্ধনমিত) এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
এছাড়া, অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/এএ