খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাংচুর : দুই ছাত্র ৫ দিন ও ২ শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

গেজেট ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ছাত্রের পাঁচদিন ও দুই শিক্ষকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেছি। দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই ছাত্রের পাঁচদিন ও দুই শিক্ষকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে সোমবার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদের (রা.) হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমীন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)।

শুক্রবার গভীর রাতে দুই ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুজেট দেখে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কার কাজ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভা। সোমবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি সংস্কার কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

স্বনামধন্য ভাস্কর্য মাহবুব জামাল শামীম পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ করছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান হাতসহ মুখমণ্ডলের অংশটি পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি নকশার কোনো পরিবর্তন যাতে না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!