কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় মো. সুজন (২৫) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজন দৌলতপুর উপজেলার আলী নগর গ্রামের শাহারুল মন্ডলের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুনোয়ারা (ছদ্মনাম) ও তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি অন্যের বাড়িতে তামাকের ঘর ল্যাপার কাজে গিয়েছিলেন। এই সুযোগে মনোয়ারার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেন সুজন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামি সুজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তানভির কবির। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় সুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
খুলনা গেজেট / আ হ আ