কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তা নূরুজ্জামান লাল্টু (৪৫)। ঘটনার পর থেকে স্বপরিবরারে পলাতক অভিযুক্ত গ্রাহক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর-মরিচা কলেজ রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নূরুজ্জামান লাল্টু উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত মতলেব কাজীর ছেলে এবং হোসেনাবাদ গ্রামীন ব্যাংক শাখার সুপারভাইজার।
পুলিশ জানায়, নূরুজ্জামান লাল্টু বুধবার দুপুরে ফিলিপনগর এলাকায় সাপ্তাহিক ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে যান। কয়েকটি বাড়ি থেকে কিস্তির টাকা আদায়ের পর ফিলিপনগর-মরিচা কলেজ রোড সংলগ্ন দফাদার পাড়া এলাকার মমিন দফাদারের কাছে টাকা আদায়ে তার বাড়ি যান লাল্টু।
এসময় মমিন ব্যাংক সুপারভাইজার লাল্টুকে বাড়ির ভেতর ডেকে নিয়ে যায়। তিনি কিস্তির টাকা না দিয়ে উল্টো লাল্টুর কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মমিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাল্টুর গলায় কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
পরে ঘাতক মমিন ব্যাংক কর্মকর্তার মৃতদেহ বাড়ির শৌচাগারে রেখে ঘরে তালা লাগিয়ে বউ-সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান।
দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম জানান, ঋণের কিস্তি আদায় নিয়ে এ খুনের ঘটনা বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। ঘটনার পর থেকে মমিন সপরিবারে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন মমিন দফাদার খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসির নানা অভিযোগ রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন