১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা ও নির্মমভাবে আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকবৃন্দকে লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমান নির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয় এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসি’র পদত্যাগ দাবি করা এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়। একই সাথে উক্ত সভায় শিক্ষকবৃন্দকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমই বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লা আল ফারুককে সভাপতি করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা ও নির্মমভাবে আহত করার ঘটনার প্রেক্ষিতে ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে (বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল) কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করেন, শিক্ষক সমিতির চতুর্থ সাধারণ (জরুরী) সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় শিক্ষকবৃন্দের পাঠদানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন।
একই সাথে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যেন ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে সেজন্য শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকবে এবং পরবর্তীতে কোন স্বার্থান্বেষী কাউকে সহযোগিতা করা হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভার সিদ্ধান্ত-
ক. সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমান নির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয় এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসি’র পদত্যাগ দাবি করা এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
খ. প্রতিটি বিশৃংখলার সাথে জড়িত ভিসি’সহ সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচার করার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শিক্ষকবৃন্দ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে।
গ. শিক্ষকবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যবৃন্দ শিক্ষকবৃন্দকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও তাদেরকে সাইবার বুলিংয়ের প্রতিটি ঘটনার তথ্য প্রমাণ সংগ্রহপূর্বক একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন এবং পরবর্তী এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের জন্য প্রশাসনের নিকট উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ, আইইপিটি বিভাগের প্রভাষক নাহইয়ান আহনাফ প্রতীক, টি ই বিভাগের প্রভাষক কানিজ ফাতেমা মিশফা ও আইপিই বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান আশিক।
খুলনা গেজেট/এনএম