কুমিল্লায় সংবাদকর্মী মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় দুজনসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারনামীয় গ্রেপ্তার দুজন হলেন ফরহাদ মৃধা (৩৮) ও মো. পলাশ মিয়া (৩৪)। আর বাকি দুজন অজ্ঞাতনামা আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন এজাহারনামীয় ও দুজন অজ্ঞাতনামা আসামি। প্রধান আসামি রাজুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিষয়ে আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মাদক কারবারির গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নিহত হন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদের শঙ্কুচাইল ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন মহিউদ্দিনের বন্ধু পলাশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পলাশ জানিয়েছিলেন, রাত সাড়ে ৯টায় রাজু বাহিনী অস্ত্র নিয়ে এসে সাংবাদিক কই বলে চিৎকার করে। এ সময় মহিউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গুলি করে তারা। তখন আমি পালিয়ে যাই। পরবর্তীতে কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পাই। পরে শুনি মহিউদ্দিনকে মেরে ফেলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়।
রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মহিউদ্দিন একসময় সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন। হঠাৎ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় সীমান্তে মাদক চোরাচালান গোপন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতেন। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় রাজুর সঙ্গে।
খুলনা গেজেট/ এস আই