কুমিল্লার ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এই ঘটনার পেছনে যারাই জড়িত থাকুক তাদের খুঁজে বের করা হবে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৃহস্পতিবার মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমীর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যেই এটার তদন্ত হচ্ছে। খুব ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্যও আমরা পাচ্ছি। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদেরকে আমরা খুঁজে বের করবই। আমরা করতে পারব। এটা প্রযুক্তির যুগ। সে যেই হোক, যে ধর্মের হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। আমরা তা করেছি এবং করব।
অনুষ্ঠানে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল বক্তব্যের শুরুতে কুমিল্লায় ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘গতকালের (কুমিল্লার ঘটনা) বিষয়ে আপনাকে বিব্রত করব না। শুধু এইটুকু বলব, আমাদের লোকেরা ভালো নেই, তারা ভীত। আমাদের কাছে খবর আছে আগামীকাল জুম্মার পর তারা ঝামেলা করতে চায়। আপনার গোয়েন্দারাও এটা জানে।’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কিছুটা শঙ্কার কথা পূজা কমিটির সভাপতি সাহেব বলেছেন। আমরা অবশ্যই এ ব্যাপারে জানি, আর আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি তুলে ধরে তার কন্যা বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি।’
এ সময় দুর্গাপূজা নিয়ে নিজের স্মৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে বিভিন্ন মন্দিরে যেতাম, ঘুরতাম, খেতাম। এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পারি না। আমি বের হলেই জ্যাম লেগে যায়। তবে ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে যেতাম। এখন একটা বড় জেলে বন্দি আছি। ২০০৭ একটা ছোটো জেলে ছিলাম।’
খুলনা গেজেট/এএ