কিয়েভ পুনর্দখল করার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটি গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলো পুনর্দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে আসছিল।
রাশিয়াও শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে কিয়েভ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সেখানে যেভাবেই হোক আক্রমণ বন্ধ হয়েছে। খবর বিবিসির।
সিএনএন জানিয়েছে— ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার শনিবার (২ এপ্রিল) বলেন, কিয়েভ অঞ্চল রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্ত হয়েছে।
তিনি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, বুচা, ইরপিন, হোস্তোমেল এবং পুরো কিয়েভ অঞ্চল আক্রমণকারীদের কাছ থেকে মুক্ত হয়েছে।
পুরো কিয়েভ অঞ্চল রাশিয়ান সৈন্যমুক্ত হয়েছে কি না সেটি সিএনএন তাৎক্ষণিক যাচাই করতে পারেনি। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের সৈন্যরা রাজধানীর আশপাশের এলাকাগুলোয় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। অভিযান শুরুর দু’দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া।
এক সময়ের সোভিয়েত রাষ্ট্র ইউক্রেন ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়; কিন্তু তার পর থেকেই ইউক্রেনের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দেশটিতে বসবাসরত রুশভাষী জনগোষ্ঠীর।
ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশেরও বেশি জাতিগতভাবে রুশ। বহুবছর ধরে তারা ইউক্রেন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে শুরু হওয়া এই দ্বন্দ্বে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ লাখ মানুষ।