প্রথমে পরিচয়। পরে মোবাইলে আলাপন। এরপর প্রেম নিবেদন। পরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ। এরপর বিয়ের প্রলোভনে আবারও ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ওই কিশোরীর মা থানায় মামলা দায়ের করলে কিশোরকে গেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই কিশোর উপজেলার পাচকাহনিয়া গ্রামের ঠান্ডা শেখের ছেলে জসিম শেখ।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামাল হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জানান, প্রায় দেড় মাস আগে ধানের চারা তুলতে গিয়ে তাদের পরিচয় হয়। পরে অভিযুক্ত জসিম শেখ কিশোরীর কাছ থেকে তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। নিয়মিত মোবাইলে কথা বলার পর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। ১৩ জানুয়ারি বিকালে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে গোপালপুরের একটা ঘেরে নিয়ে যায় জসিম। রাত ৮ টার দিকে ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে জসিম।
১৭ জানুয়ারি দুপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় জসিম। ওইদিন রাত ৮ টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাচকাহনিয়া গ্রামের নির্মাণাধীন একাট বাড়ির সামনে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ করে। রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে কিশোরী পরিবারের সদস্যদের জানায়।
পাটগাতী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউ.পি সদস্য নরোত্তম দাসকে মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামাল হোসেন আরও জানান, কিশোরীর মা বুধবার রাতে থানায় মামলা করার পর রাতেই অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জসিম শেখ পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে তিনি জানিয়েছে।বৃহস্পতিবার(১৯ জানুয়ারী) জসিমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড