কিংবদন্তির ফুটবলার ডিয়োগো ম্যারাডোনা আর নেই। বুধবার রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নভেম্বরের প্রথম দিকে মস্তিস্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার হয়েছিল ম্যারাডোনার। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার দুই সপ্তাহ পর তার মৃত্যু হলো। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার খ্যাত ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান ১৯৮৬ সালে। খেলেছেন বোকা জুনিয়র্স, নাপোলি ও বার্সেলোনায়।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ছিটকে দেওয়ার পথে তার বিতর্কিত ‘ঈশ্বরের হাত’ দিয়ে গোল করেন তিনি।
আর্জেন্টাইন নিউজ আউটলেট ক্লারিন বুধবার বাংলাদেশ সময় রাতে ব্রেকিং নিউজ দেয়। ম্যারাডোনার মৃত্যু খবর প্রকাশের পর তা বিশ্বে আলোড়ন তোলে।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পর গত ১১ নভেম্বর হাসপাতাল ছাড়েন ম্যারাডোনা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেসরকারি ওলিভোস ক্লিনিক থেকে তাকে বাড়িতে ফেরানো হয়। ওই সময় তাকে একনজর দেখার জন্য অগণিত দর্শক ভিড় করে এবং তারা ছবি তোলে।
তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন ছুটতে থাকেন আর্জেন্টাইন টিভি সাংবাদিকরা। তার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাহাস বলেন, অ্যালকোহল আসক্তি কাটানোর জন্য চিকিৎসা চলছিল। বিশ্বকাপ জয়ী ম্যারাডোনা সম্প্রতি স্বদেশী ক্লাব জিমন্যাসিয়ার কোচ হন।
গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পাকস্থলীর অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের কারণে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে, ঘটনাটি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার ম্যাচে অসুস্থবোধ করায় খেলা শেষ পর্যন্ত দেখতে পারেননি তিনি।
খুলনা গেজেট/এএমআর