ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ২০২০-২০২১ মৌসুমে গতিহীন হয়ে পড়েছে রোপা আমন সংগ্রহ। এ বছর মোট ৭৯১ জন কৃষকের তালিকা নিয়ে ২১-১১-২০২০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১ মেট্রিকট্রন ধান সংগৃহিত হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বর্তমান বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রি হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে আমন ধান রোপনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৫ শত ৭০ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী। খাদ্য গুদামসূত্রে জানাগেছে, এ মৌসুমে উপজেলাটিতে ৭ শত ৯১ মেট্রিকটন ধান ও ১ হাজার ৬ শ মেট্রিক টন চাল সরকারীভাবে কিনে খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করা হবে ঘোষনা দেয়া হয়েছিল। যা সংগ্রহের মেয়াদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত।
তালিকাভুক্ত কৃষকেরা জানান, সরকারীভাবে ধানের নির্ধারন করে দেয়া দাম প্রতিমন ১ হাজার ৪০ টাকা কিন্ত বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১ ’শ টাকা। যার অর্থ প্রতিমনে প্রায় ১০০ টাকা বেশি। তারপরও ধান দিয়ে টাকা নিতে হবে ব্যাংক থেকে। যা তাদের জন্য বেশ খানিকটা ঝামেলাপূর্ণ। সে কারনেই তারা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছেন না।
সরজমিনে কালীগঞ্জের বিভিন্ন ধান হাটে গিয়ে দেখা যায় ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১১’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণ চাউল ক্রেতারা বলেছেন, এবার হয়তো চউলের দাম বৃদ্ধি পাবে যদি কিনা পর্যাপ্ত চাউল সরকরি ঘরে না থাকে। কেননা অধিকাংশ ধানই চলে যাচ্ছে মিলার এবং ব্যাবসায়ীদের হাতে।
খুলনা গেজেট/কেএম