ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সেই আলোচিত দলিল লেখক, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর দুই স্ত্রী ও এক স্বজনের ১১টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় গত ১১ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মো. আবু আহছান হাবিব এই অবরুদ্ধের আদেশ দেন। ইতিমধ্যে এ আদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অবৈধভাবে প্রায় ৬ কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি কালীগঞ্জ উপজেলার সিমলা-রোকনপুর ইউপির চেয়ারম্যান, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নাসির উদ্দিন চৌধুরীর চারটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সোনালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার একটি হিসাব, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার একটি হিসাব, রূপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার একটি হিসাব ও ব্র্যাক ব্যাংক যশোর শাখার একটি হিসাব রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর এক স্ত্রী খোদেজা বেগমের ব্র্যাক ব্যাংকের দুটি হিসাব, দ্বিতীয় স্ত্রী মাহফুজা বেগমের সোনালী ব্যাংক যশোরের চুরামনকাটি শাখার দুটি হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তালিকায় চেয়ারম্যানের এক স্বজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুলফডাঙ্গা গ্রামের মো. রেজাউল করিম জোয়ার্দ্দারের ছেলে মিকাইল হোসেন জোয়ার্দ্দারের ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখার তিনটি হিসাব রয়েছে। সব মিলিয়ে ওই চার ব্যক্তির ১১টি হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও পুকুরিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন চৌধুরী নামে প্রায় ৬ কোটি টাকা অবৈধ পন্থায় উপার্জনের অভিযোগে দুদুক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশারফ হোসেন বাদী একটি মামলা করেন। গত ২৪ নভেম্বর দুদক কর্মকর্তা এই মামলা করেন। ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন।
কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, আদালত ও দুদকের পৃথক দৃটি চিঠি পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুস সাদাত বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
খুলনা গেজেট/কেএম