সাড়ে চার বছরের কালামানিক। ওজনে প্রায় ৩৫ মন। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া এলাকার ইয়াসিন আরাফাত ও জিহাদ আলমের খামারে বেড়ে ওঠা। বিশ থেকে একুশ দিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খামারীরা। খামারীর খামারে কি চমক আছে এটা জানার আগ্রহে থাকেন মানুষ। এবার চমক দেখাতে ‘কালামানিক’কে নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত ও জিহাদ আলম নামের দুই ভাই কালামানিকের দাম হাকা (চাওয়া) হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
ইয়াসিন আরাফাত ও তার ভাই জিহাদ আলম জানান, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের কাউয়ার পোল এলাকায় তাঁদের বসবাস। বাবার নাম মোর্শেদ আলম মোল্লা। পেশায় জিহাদ চাকুরীজীবি ও আরাফাত ব্যবসায়ী। দুই ভাই পাশাপাশি গরুর খামার করেন। সাড়ে চার বছর আগে ১ লাখ ৬০ হাজার দিয়ে খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি এঁড়ে বাছুর (পুরুষ) কিনে আনেন। আদর করে এটির নাম রাখেন ‘কালামানিক’। কালামানিককে তাঁরা দেশীয় ঘাস, খড়কুটো খাইয়ে পরম যত্নের সাথে লালন পালন করেছেন। সাড়ে চার বছরে কালামানিকের ওজন এখন প্রায় ১৪০০ কেজি (পঁয়ত্রিশ মন)। দাম হেকেছেন ১২ লাখ টাকা। কম-বেশী হলে এ বছরই তারা কালামানিককে বাজারজাত করবেন। তাই ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে ০১৬৭৪৪১৮৮৫৭ নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহমেদ ইকবাল বলেন, ‘এ উপজেলায় ৮৯৫ টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে খামারিরা পশু প্রস্তুত রেখেছেন। আমরা তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। ইয়াসিন আরাফাত ও জিহাদ আলমের কালামানিক এ বছর প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আমরা চাই খামারীরা নায্যমূল্য পাক।’
খুলনা গেজেট/এএজে