মৌলভীবাজারে স্বস্থির বৃষ্টি হলেও শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দু’টি উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন। শ্রীমঙ্গল সদর, কালাপুর ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বয়ে যাওয়া আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বহু গাছপালা বাড়িঘর বিদ্যুৎ লাইন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আক্রান্ত এলাকায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ও গাছ উপড়ে পড়ায় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয় এই ঝড়। এতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বড় বড় গাছ। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের পাশাপাশি অল্প পরিমাণে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে হাওরের বোরো ফসল ও সবজিরও ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে সড়কে পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে আছে।
শহরের পূর্বাশা এলাকার বাসিন্দা রুপক দত্ত চৌধুরী জানান, ঝড়ে পূর্বাশায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমারের ওপর গাছ পড়ে তা ভেঙে গেছে। শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। কোনো কোনোস্থানে টিনের চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ের পিক টাইমের স্থায়িত্ব ছিল ৬ মিনিটের মত।
খুলনা গেজেট/এইচ