খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৬ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  ৫ ইউনিটের চেষ্টায় ভাষানটেকে বিআরপি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
  অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ
  ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের

‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’

গেজেট ডেস্ক

কথায় আছে ‘কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ’। এই প্রবাদ বাক্যের বাস্তব চিত্র যেন ফুটে উঠেছে বঙ্গবাজারে। সেখানে কাঠের মার্কেট পুড়ে ছাই। এরপরও ব্যবসায়ীরা এসেছেন কোনোকিছু অবশিষ্ট আছে কিনা দেখতে। তবে এই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়েছে সুযোগসন্ধানীরা। তারা জিনিসপত্র যে যেভাবে পারছে সেভাবেই নিয়ে যাচ্ছে। কেউ এসে দেখলে মনে করবে এখানে হরিলুট চলছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ওই পোড়া মার্কেটের সামনে এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে। পুলিশের চোখের সামনেই এসব কাজ করছে বিভিন্ন লোকজন। কেউ মাথায় করে, হাতে করে, কাঁধে করে, ভ্যানে করে যেভাবে পারছে ঠিক সেভাবে মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে। তবে এই সব পণ্য তাদের নিজের না অন্য কারও, তার কোনও জবাবদিহি নেই।

ধ্বংসস্তূপে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিলো এক শিশু। এগুলো নিয়ে কী করবে জানতে চাইলে সে বলে, বেচে দেবো।

এমনই একজন জসিম মিয়া। মালামালগুলো কার, এভাবে নিয়ে যাচ্ছেন কেন, কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, আমি একা নিচ্ছি না। সবাই নিচ্ছে, তাই আমিও নিচ্ছি।

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগী সালমা বেগম বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যা দেখলাম এ বিষয়ে আর কী বলবো। দেখতেই তো পারছেন অনেকে এসে জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বঙ্গবাজারের ওই স্পটে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশ কর্মকর্তা চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশানার শাহিনুর যিয়াদ বলেন, মালামাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যাদেরই জিজ্ঞেস করেছি তারাই বলছে এখানে তার দোকানে রয়েছে। এজন্য সেভাবে আমরা কিছু বলতে পারছি না। যাদের মালামাল তারাও নিচ্ছে। এদের ফাঁকে অন্যজনরাও নিচ্ছে। এতোগুলো মানুষের মধ্যে বোঝা মুশকিল প্রকৃত মালিক কে।

খুলনা গেজেট/কেডি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!