ভুয়া সনদপত্র সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।
একই অভিযোগে শনিবার তার স্ত্রী সেহালা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। সনদ বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় শনিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে।
সোমবার ডিবি প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আলী আকবর খানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।
এর আগে স্ত্রীর সনদ বাণিজ্যের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় থাকায় আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
৪ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে বোর্ডের ছোট–বড় সব কর্মকর্তা জানতেন বলেও উল্লেখ করেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম