কারামুক্তির পর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটক থেকে বিএনপির তিন নেতাসহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। নাশকতার অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার আবার ওই তিনজনকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে আছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ার রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাঈম উদ্দিন ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান। যশোর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নেওয়াজ ইমরানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ বলেন, কারা ফটক থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। নওয়াপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। একটি মামলা থেকে তাঁরা জামিন নিয়েছেন। নাশকতার অন্য মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রাজপথে আজ কোনো কর্মসূচি নেই। তবে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত দলটির ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে শার্শা উপজেলার নাভারণ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান ও কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জিয়াউর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এদিকে যশোর জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌগাছা উপজেলার লস্করপুর গ্রামে মারধরের শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা ও নির্মম নির্যাতন করে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, রাজপথে বিএনপির আজ কোনো কর্মসূচি না থাকলেও পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। দলের নেতা–কর্মীরা গণগ্রেপ্তার এড়াতে ঘরে থাকছেন না। এই শীতের মধ্যে তাঁরা গ্রামের মাঠঘাটে রাত জেগে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। জনগণ ঠিকই এর জবাব দেবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে