খুলনার বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তা শোনেনি। সুচিকিৎসার অভাবে বাপ্পী এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান।
তিনি বলেন, বিনা চিকিৎসায় বাপ্পীকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও বিচারের দাবি জানানো হবে।
লিখিত বক্তব্যে আমীর এজাজ খান বলেন, হাইকোর্টের আগাম জামিন শেষ হলে গত ২৪ এপ্রিল খুলনা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ৩ মে খুলনা জেলা কারাগারে মনিরুল হাসান বাপ্পী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। অনেক অনুরোধের পর কারাগারের চিকিৎসক দিয়ে বাপ্পীর ইসিজি করানো হয়।
তখন চিকিৎসক কারাবন্দি বাপ্পীকে জানান, তার ‘হার্ট এ্যাটাক’ হয়েছে। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে খুলনা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করে হাসপাতালে ভর্তির অনুরোধ জানায়। প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনোভাবেই কারা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি।
তিনি বলেন, বিষয়টি উচ্চ আদালতকে অবগত করলে গত ৬ মে রাতে চরম অসুস্থ অবস্থায় জামিনে মুক্তিলাভ করেন মনিরুল হাসান বাপ্পী। তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকরা জানান, গত ৩ মে (কারান্তরীণ অবস্থায়) তিনি ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছিলেন। তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রপচার করার পদক্ষেপ নেন তারা। কিন্তু শারীরিক অবস্থা অনুকূল না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে বাপ্পীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, এসএ রহমান বাবুল, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, এস এম শামীম কবির ও এনামুল হক সজল, চৌধুরী কওসার আলী, ডা. আব্দুল মজিদ, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, হাফিজুর রহমান, জিএম রফিকুল ইসলাম, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএজে