যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে তাদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার কাজ জোরদার করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিশাল আকৃতির দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট চিনুক এবং দ্রুতগতির ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারগুলোকে দূতাবাসের স্টাফদের সরিয়ে নেবার কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটির পর একটি হেলিকপ্টার দূতাবাসের ভেতরে নামছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রী বোঝাই করে উড়ে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, রোববার সকালে কূটনৈতিক সাঁজোয়া যানের বহর মার্কিন দূতাবাস এলাকা ত্যাগ করতে দেখা যায়। কূটনীতিবিদরা ভবন ত্যাগ করার আগে স্পর্শকাতর দলিলপত্রপুড়িয়ে ফেলছেন, এবং সে কারণে দূতাবাসের ছাদ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
একজন কর্মকর্তা জানাচ্ছেন-তাদেরকে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এবং সেখানে তারা কত সময় থাকবেন তা বলা হচ্ছে না। বিমানবন্দরটি এখন বিভিন্ন দেশের লোকে পরিপূর্ণ, যেখানে কূটনীতিক, ঠিকাদার এবং বেসামরিক লোক – সবাই কাবুল ছাড়ার অপেক্ষায় সমবেত হচ্ছেন।
এদিকে কাবুল ছেড়েছে শেষ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। সন্ধে নাগাদ দিল্লির মাটিতে তা অবতরণ করার কথা। রবিবার তালিবান বাহিনী কাবুল দখল নিতেই নাগরিকদের নিয়ে তড়িঘড়ি রাজধানী শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।
এত দিন নয়াদিল্লি থেকে কাবুল পর্যন্ত সপ্তাহে তিন বার বিমান চলাচল করত। আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ শুরু হতেই দু’দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলেই জানিয়েছে ওই সরকারি সূত্র। রবিবার সকালেও একটি দিল্লি-কাবুল চার্টার বিমান বাতিল করা হয়।