কাতার বিশ্বকাপের প্রথম গোল পেলেন এনার ভ্যালেনসিয়া। ইকুয়েডরের এই তারকা ফুটবলার কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচের ১৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
খেলার ৩২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে বল পেয়ে হেডে গোল নিশ্চিত করেন ভেলেনসিয়া। তার জোড়া গোলে ২-০তে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর।
ফাউল করে বসেন কাতারি গোলরক্ষক সাদ আলশিব। তার ফাউলের কারণে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর পেনাল্টি পায়।
খেলার ৫ মিনিটেই গোলের আনন্দে ভাসার উপলক্ষ্য হয় ইকুয়েডরের। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোলটি বাতিল হয়।
মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করল কাতার। এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর।
কাতারের দোহার আল বাইত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয় কাতার। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হবে কাতারের।
অন্যদিকে ইকুয়েডরের এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ফিফা র্যাংকিংয়েও কাতারের (৫০) চেয়ে এগিয়ে ইকুয়েডর (৪৪)। তবে আয়োজক হওয়ার সুবাদে এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া কাতার ২০১৯ সালে এশিয়া কাপ জিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, এই পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা তাদের আছে। তাদের সামনে এখন শঙ্কা ও সম্ভাবনার যুগল হাতছানি।
২০০২ আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেনেগালের অভাবনীয় জয়ের পর বিশ্বকাপ অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারেনি কোনো নবাগত দল। আবার ২০০৬ আসর থেকে আয়োজক দেশের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর রীতি চালুর পর উদ্বোধনী ম্যাচে কখনো হারেনি স্বাগতিক দল।
এবার কাগজে-কলমে ইকুয়েডর ফেভারিট হলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কাতার। এর আগে ২০১৮ সালে দুই দলের একমাত্র সাক্ষাতে কাতার জিতেছিল ৪-৩ গোলে। ইকুয়েডরের দুই খেলোয়াড় দেখেছিলেন লাল কার্ড।
আজ লড়াইটা হবে ইকুয়েডরের রক্ষণের সঙ্গে কাতারের আক্রমণভাগের। রক্ষণ জমাট হলেও শেষ পাঁচ ম্যাচে ইকুয়েডরের গোল মাত্র একটি। অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া ছাড়া আক্রমণভাগে ভরসা করার মতো কেউ নেই দলটির।
অন্যদিকে টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত কাতারের সব পজিশনেই রয়েছে ভালো বিকল্প। আক্রমণে আলমায়েজ আলী ও আকরাম আফিফ গড়ে দিতে পারেন ব্যবধান। রক্ষণে আবদেল করিম হাসান ও মাঝমাঠে ভরসা অধিনায়ক হাসান আল-হেদোস।
কাতারের একাদশ: শাদ আল সাঈব, আব্দেলকরিম হাসান, বৌলেম খৌকি, আল রাওই, হোম্যান আহমেদ, আব্দুলআজিজ হাতেম, করিম বৌদিয়াফ, আকরাম আফিফ, আলমঈজ আলী, হাসান আল হেইদৌস।
ইকুয়েডরের একাদশ: গালিন্দেজ, এস্তুপিনান, হিনক্যাপি, তোরেস, অ্যাঞ্জেল প্রিকাইদো, ইবারা, কেইসেদো, মেন্ডেস, প্লাটা, এস্ত্রেদা, ভ্যালেন্সিয়া।