বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘরের পাটাতন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, একই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কলেজ ছাত্রীর। কিন্তু পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি এবং অন্যত্র কলেজ ছাত্রীর বিয়ে ঠিক করে। স্থানীয়দের ধারণা, এ কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। এতে লেখা ছিল- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা ও মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি কাইউমকে ভালোবাসি, আমাদের প্রেম খাটি ছিল। ভালো থেকো বাবা। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ ঘটনার পর থেকেই ওই যুবক পলাতক।
কলেজ ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কোচিং শেষে তিনি বাড়িতে ফেরেন। তার বাবা-মা ধান শুকাতে মাঠে যান। কাজ শেষে দুপুরে ফিরে এসে তারা ঘরের দরজা বন্ধ পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও বাবা-মা ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে দরজা ভেঙে দেখেন, ঘরের পাটাতনের সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর মরদেহ ঝুলেছে। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, মেয়ের কোনো আচরণ সন্দেহজনক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় তিনি গলায় ফাঁস দেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।