সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার ১২২তম কার্য দিবসে ১০ম স্বাক্ষী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ এর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর এই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আগামী রবিবার আলোচিত এই মামলার পরবর্তী ধার্যদিন রয়েছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল লতিফ জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবিরা একটি পিটিশন করে স্বাক্ষীর জেরা করবেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এরআগে গত ৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীনের স্বাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করলেও আসামী পক্ষের আইনজীবিরা তার জেরা করেননি। তারা জানান, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর দিন ধার্য্য থাকায় তারা সাক্ষীর জেরা করবেন না বলে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন জোট সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন