সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৫ নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামালা, মারপিট ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকিসহ মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত মোছলে উদ্দীন গাইনের ছেলে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ভূট্টোলাল গাইন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি প্রচার-প্রচারণা করে আসছি। বিদ্রোহী প্রার্থী মারুফ হোসেন গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে কাকডাঙ্গা মোড়ে নৌকার নির্বাচনী অফিসে থাকা আমার কর্মী জাহারুল, সোহাগ, কোরবানসহ কয়েকজনকে মারপিট করে অফিস থেকে বের করে দেন। এসময় নৌকার প্রতীকসহ বিভিন্ন জিনিষ ভাংচুর ও পোষ্টার ছিড়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আফজাল হোসেন হাবিল তার কর্মীদের নিয়ে বোয়ালিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া মসজিদের পাশে অবস্থিত আমার কর্মী ফারুকের বাড়িতে স্বশস্ত্র হামলা চালিয়ে ফারুক, সিরাজুল, আনেছাকে ব্যাপক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
ভূট্টোলাল গাইন আরো বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি সেখানে আফজাল হোসেন, হাবিল ও মারুফ হোসেনসহ ২০০ শতাধীক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন। আমি মোটর সাইকেল থেকে নামা মাত্রই হাবিলের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালানো হয়। এসময় আমার কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও একইভাবে মারপিট করলে আমিসহ আমার ১৫ জন কর্মী গুরুতর আহত হই। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ওই বিদ্রোহী দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœ, তাদের নির্বাচনী প্রচারনা বাঁধা, অফিস আমার কর্মী শফিকুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে তাদের অফিস ভাংচুর বন্ধ করে দেয়া সহ যে সকল অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এঘটনার পর দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িক বহিস্কারের নিদের্শ দেন জেলা আওয়ামীলীগ। গত ইউপি নির্বাচনে ও ওই দুই ব্যক্তি আমার নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। আদালত থেকে জামিন পেয়ে আসামীরা পুনরায় আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
তিনি নৌকা প্রতীক ভাংচুর, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, অফিস ভাংচুর, তালা লাগিয়ে দেয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।