সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাছ চাষের ঘেরের আইলে খেরাই চাষ করে স্বাবলম্বী হলেন আব্দুল করিম নামে এক কৃষক। সে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের মৃত নজিবুল্লাহর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বাটরা গ্রামের পূর্বের বিলে আব্দুল করিম ১২বিঘা জমিতে সাদা মাছ চাষের জন্য ঘের করেন ৪বছর আগে। পরে তিনি ওই ঘেরের আইলের কিছু অংশ ব্যবহার করে নিজ উদ্যোগে খেরাই চাষ শুরু করেন। গত বছর সেই খেরাই বিক্রয় করে তিনি ব্যাপক ভাবে লাভবান হয়েছেন।
সে কারনে এবছর তিনি ১২ বিঘা জমির ঘেরের আইলে ৪২ হাজার টাকা খরচ করে খেরাই চাষ করেছেন। গত এক সপ্তাহে তিনি ওই ঘের থেকে ৩০ হাজার টাকার খেরাই বিক্রয় করেছেন।
কৃষক আব্দুল করিম জানান, তার নিজের ৩বিঘা জমি রয়েছে। বাকী ৯বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মাছ ও খেরাই চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষের ঘেরে খেরাই চাষ করে তিনি ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি ঘেরে ৪২ হাজার টাকা খরচ করে খেরাই চাষ করে মাত্র এক সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকার খেরাই বিক্রয় করেনে।
তিনি আরো জানান, আগামী দুই মাস মধ্যে তিনি তার ক্ষেত থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার খেরাই বিক্রয় করবেন বলে আশাবাদি। তিনি আগস্ট মাস থেকে বিক্রয় শুরু করেছেন আর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিক্রয় করতে পারবেন। এখন প্রতিদিন ১শ ৮০ কেজি খেরাই উঠছে।
তিনি বলেন, তার এই কাজের জন্য কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সহযোগিতা না করলেও তার দুই ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও জুবায়ের হোসেন সহযোগিতা করছেন। এই মাঠ থেকে সরাসরি ঢাকায় খেরাই যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ১৬ থেকে ১৭ টাকা।
তার মাছের ঘেরে খেরাই চাষ দেখে চাষীরা এখন প্রায় ৬/৭ হাজার বিঘা মাছের ঘেরের আইলে চাষ শুরু করেছেন। শুধু খেরাই চাষ না এই বাটরার মাঠে লাভ জনক ব্যবসা গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষও হচ্ছে।
এলাকার কৃষকরা জানান, সরকারী ভাবে সহযোগিতা পেলে এখানকার চাষীরা মাঠের পার মাঠ সবজি চাষ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারতো। চাষীরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম