যথাযোগ্য মর্যাদায় কলকাতায় পালিত হল বাংলাদেশের স্হপতি ও সে দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একশো এক তম জন্মদিন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদী নেতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুধবার একশো বছর পূর্ণ করে একশো এক বছরে পদার্পণ করলেন। এই ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কলকাতাস্হ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন নানান আয়োজন করে।
সহযোগী সংগঠন হিসাবে ছিল কলকাতাস্হ বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকের শাখা, বিমান বাংলাদেশ, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি, প্রভৃতি সহযোগী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। এদিন সকালে কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে পতাকা উত্তোলন করেন উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। তারপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপ হাইকমিশনের গ্যালারিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্রদর্শনী করা হয়। দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। এই হিসাবে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল দশটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহু স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলের চব্বিশ নম্বর রুম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষে তার আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কনস্যুলার বসির উদ্দিন আহমেদ, মহম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, প্রেস সচিব মুফাখখারুল ইকবাল, এইচ ওসি বি এম জামাল হোসেন, সহ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের অফিসাররা। পরে এখানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এদিন কলকাতার বেকার হোস্টেলের আবাসিকরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা এমন একটি হোস্টেলে থাকি যেখানে একসময় থাকতেন বাংলাদেশের স্হপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা গর্বিত। কলকাতা ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক।
এদিকে এদিনই কলকাতার রবীন্দ্র সদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি আলোচনা সভাও হয়। এছাড়া তিন ঘন্টা যাবত গান-কবিতা পাঠ-আবৃত্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয় ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন রবীন্দ্র সদনে কলকাতার খ্যাতনামা আবৃত্তিকার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবৃত্তি, কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর গান এবং কলকাতার বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গীত বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধানুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
খুলনা গেজেট/এনএম