সারা ভারতের সঙ্গে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ কৃষক- খেতমজুর মিছিল ও কিষাণ প্যারেডে মঙ্গলবার উত্তাল হল। এদিন কলকাতাতে ট্রাক্টর সহ দুটি বিশাল মিছিল করে। ১৭ বাম দল ও কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে এই মিছিল হয়।
এছাড়া কৃষক ও শ্রমিক সংগঠন বিভিন্ন গণসংগঠন এমিছিলে সামিল হয়। একটি মিছিল রাজাবাজার থেকে এবং অন্য আরেকটি মিছিল হাজরা মোড় থেকে শুরু হয় । দুটো মিছিলই কলকাতার অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র পার্কসার্কাস সাতমাথা মোড়ে সমবেত হয়। মিছিল শেষে হয় কিষাণ প্যারেড। এদিন দুটি মিছিলে পা মেলান কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপি আই, আর এসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, পিডি এস , আর সি পি আই, সি পি আই (এম এল ) লিবারেশন, এস ইউসি আই, সিপি আই (এম এল) রেড স্টার, এন সিপি- র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ।
এদিন মিছিল থেকে দাবি করা হয়, সাময়িক স্থগিত নয় , অবিলম্বে জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে চলবে, কৃষক বিরোধী-জন বিরোধী মোদী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সাম্রাজ্যবাদ-কর্পোরেটের দালাল এজেন্ট মোদী সরকারকে সরতে হবে।
এদিন কলকাতায় সারাভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির প্রথম সারির নেতা ও রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বলেন , মোদী সরকারকে আমরা হুশিয়ারি দিয়ে জানাতে চাই যে, যদি মোদী সরকার জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল না করে তাহলে দিল্লির মতো পশ্চিমবঙ্গেও এই আন্দোলনে গণ আন্দোলনের রূপ নেবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার জেলা সদর ও থানা শহরে লাগাতার ধর্না-অবস্থান হবে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম এলাকাগুলিতে কৃষক- জাঠা চলছে। এই পশ্চিমবঙ্গের সাতাত্তর হাজার বুথের মধ্যে তিরিশ হাজার মানুষের কাছে পৌছে গেছে। এদিন পার্কসার্কাস ময়দানে কিষাণ প্যারেডে একরকম জনজোয়ার ।
এদিকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার সদর শহরে এদিন ট্রাক্টর মিছিল ও কৃষক সমাবেশ হয়। এদিন দার্জিলিঙ, কার্শিয়াং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদা, জঙ্গিপুর, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, বারাসত, ডায়মন্ডহারবার, হুগলি, বর্ধমান, আসানসোল, তমলুক, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে কষকদের ট্রাক্টর মিছিল হয়।সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও কৃষক- খেতমজুর আন্দোলন তুঙ্গে । এদিন কৃষক মিছিল ও ট্রাক্টর মিছিলের জেরে কলকাতা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে তীব্র যানজট হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম