খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, এস এম এ রব কর্মীবান্ধব উদার ও সাহসী মনের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে থেকে পীড়িতদের সেবা করতে স্বচ্ছন্দবোধ করতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে যথার্থভাবে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন। প্রত্যেক নেতাকর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় পাশে থাকতেন। তার আন্তরিক ও অমায়িক ব্যবহারের জন্য সমস্ত নেতাকর্মীরা তাকে আপন করে নিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এস এম এ রবকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ায় প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছিলো। বিএনপি-জামায়াত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রব ও মঞ্জুরুল ইমামসহ আওয়ামী লীগের মেধাবী রাজনীতিকদের হত্যা করেছে। প্রাকৃতিক নিয়মেই আজ বিএনপি সকল অপকমের প্রতিদান পেয়েছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এস এম এ রব রাজনীতিতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। রবের মত মানুষকে ভালোবেসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত সাবেক মেয়র প্রার্থী এস এম এ রবের ২২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সমীর কৃষ্ণ হীরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. শফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, মীর বরকত আলী, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, আইরিন চৌধুরী নীপা, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মো. মোক্তার হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারী, চ. ম. মুজিবর রহমান, বাবুল সরদার বাদল, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ আব্দুল আজিজ, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মীর মো. লিটন, মুন্সি সেলিমুজ্জামান, মল্লিক নওশের আলী, মো. সেলিম, নূরানী রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, আফরোজা জেসমিন বিথী, এ্যাড. সাহারা ইরানী পিয়া, কবির পাঠান, মো. আলমগীর মল্লিক, রেজওয়ানা প্রধান, মেহজাবিন খান, নাছরিন সুলতানা, তৌহিদুর রহমান, মো. শহীদুল হাসান, খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল ইসলাম বেবী, নজরুল ইসলাম খোকন, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, ঝলক বিশ্বাস, বায়েজিদ সিনা, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, মোক্তাজিরুল ইসলাম সোহাগ, রাহুল শাহরিয়ার, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্মরণ সভা শেষে এস এম এ রবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শ্রমিক নেতা হাফেজ আব্দুর রহিম খান ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
এর আগে বেলা ১১টায় বসুপাড়া কবরস্থানে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়।