খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু’র ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি করার ফলে তাকে কমার্স কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিলো। তারপরেও তিনি পাক শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি। তিনি বঙ্গবন্ধু’র ডাকে জীবন বাজি রেখে ’৭১এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে তিনি সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কৌশলে রাজপথে থেকে আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। শেখ আব্দুল কাইয়ুম কোন রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করেননি। তিনি এ অঞ্চলের সেবা করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকলকে সাথে নিয়ে নাগরিক ফোরাম গঠন করেছিলেন। এই নাগরিক ফোরামের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার সকলকে এক জায়গায় এনে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি কর্ণেল শওকতের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, কর্ণেল শওকত ছিলেন একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি কখনও পাকশাসকদের সাথে আপোষ করেন নি। সে কারনেই তাঁকে ৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, কর্ণেল শওকত ও শেখ আব্দুল কাইয়ুম বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে আমৃত্যু অবিচল ছিলেন। তাদের মত ত্যাগ স্বীকার করে শেখ হাসিনার ভিশন সফলভাবে সকলকে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। গতকাল সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল কাইয়ুমের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময়ে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়মাী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। স্মরণ সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যা. আলমগীর কবির, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বিএম জাফর, মো. শামছুর রহমান তালুকদার, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ পীর আলী, মাহমুদ হাসান তাজু, মোস্তফা কামাল, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, চ. ম. মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ জাহিদ হোসেন, এমরানুল হক বাবু, শেখ মো. রুহুল আমিন, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. জাকির হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম পলাশ, সরদার মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহীম বাবু, রাজু আহমেদ, শেখ আব্দুল কাদের, মো. সহিদুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. রিয়াজ হোসেন, কুটি ঘোষ, শামীম আহমেদ, তোতা মিয়া, মাসুদ কবীর সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
স্মরণ সভা শেষে শেখ আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত হোসেন, লুৎফুন নেছা লুৎফার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং রিজিয়া নাসের, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, রুপা চৌধুরী, বেগম হাবিবুন নাহার এমপি সহ সকল অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ মাওলানা সাহেদ এবং শ্রমিক নেতা হাফেজ আব্দুর রহীম খান। সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম