গত এক সপ্তাহে দেশে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১১৫ শতাংশেরও বেশি করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯১ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়মিত করোনা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত সাত দিনে ছয় হাজার ৩০০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে তিন হাজার ৩৭৬ জন বেশি। শতকরা হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় ১১৫ শতাংশের বেশি রোগী এ সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে। গত সাত দিনে করোনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত সপ্তাহের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি।
ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল বলেন, রোগীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণেই আমরা হয়তো সব তথ্য দিতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি, যারা এ পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছিল, তাদের অনেকেই এখন অনেকটাই সুস্থ। তাদের অনেকেই চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। করোনা প্রতিরোধে আমরা যদি সবাই সম্মিলিতভাবে সক্রিয় কাজে অংশগ্রহণ করি। তাহলে করোনা প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য সহজ হবে বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৫ জনে।শনিবার দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হন ১ হাজার ১১৬ জন। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২১ হাজার ৯৮০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের দুজন নারী, একজন পুরুষ। ঢাকায় ২ ও চট্টগ্রামে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি বিভাগগুলোতে কোনো মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
খুলনা গেজেট/ এস আই