গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ৯০১ জন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭৩ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ১৬১ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন এক হাজার ৬৪ জন।
এতে বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৪১৭ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৯ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৩ জন মানুষ। এছাড়াও এই সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ জন।
আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৮ মার্চ) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৮১১ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৬৭০ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩১ হাজার ৯২৫ জনকে।
এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
এদিকে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনার সবশেষ তথ্য
শুক্রবার (১৮ মার্চ) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জনে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এই ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ২ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের তিন দিন করোনায় দেশে কারো মৃত্যু হয়নি।
খুলনা গেজেট/ এস আই