চলমান ‘লকডাউনে’ শ্রমিকদের জন্য মাসিক সরকারি অনুদানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই করোনাকালে অবশ্যই শ্রমিকদেরকে সাবসিডি দিতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিক নেতা, শ্রমিক কর্মী যারা আছেন তাদেরকে অবশ্যই সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সহযোগিতা করতে হবে। দেশে ইনফরমাল সেক্টর, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য কলকারখানার সঙ্গে যত শ্রমিক যুক্ত আছেন তাদের প্রত্যেককে মাসের একটা অনুদান অবশ্যই দিতে হবে, যেটা অন্যান্যদেরকে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রয়াত জাফরুল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভা হয়। ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ শ্রমিক নেতা জাফরুল হাসান।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাকালে শুধুমাত্র মালিকদেরকে দিলেই হবে না। তাদের শুধুমাত্র ব্যাংক থেকে ঋণ দিলেই হবে না।আসুন, আমরা এই আন্দোলনটা গড়ে তুলি শ্রমিকদের নিয়ে যে, আজকে এই সময়ে তাদের ইনসেনটিভ দিতে হবে, তাদের ত্রাণ দিতে হবে, তাদের সহযোগিতা দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন কেন জানি না শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় চলে গেছি। আমরা দোয়া করছি, মিলাদ করছি, স্মরণ সভা করছি। সংগঠন গড়ে না তুললে আন্দোলন কীভাবে হবে? সরকার পরিবর্তন করতে হলে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে তো প্রধান দুইটা শক্তি দরকার। একটা হচ্ছে ছাত্র সংগঠন, আরেকটি শ্রমিক সংগঠন। সেই সংগঠন তো আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। সেটা তো আমাদের ব্যর্থতা।অনুরোধ করব আসুন, আমরা সবাই পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করি, কথা বলি, কীভাবে সংগঠনগুলোকে আবার গড়ে তোলা যায় সে চেষ্টা করি।
দলের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের দলের অনেক কষ্ট, অনেক দুঃসময়।অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমাদের প্রধান যিনি আমাদের নেতৃত্ব দেন যার কথায় আমরা অনুপ্রাণিত হই, আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে কারাগারে। এটা ভাবা যায় না, কল্পনা করা যায় না। যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি ৮ হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। নতুন করে এই কয়েকদিনে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। করোনায় অনেকে আক্রান্ত। অনেকে চলে গেছেন। এই অবস্থা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে, আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয় শ্রমিক জোটের নাইমুল হাসান জুয়েল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় নেতা এএম নাজিম উদ্দিন, সালাহউদ্দিন সরকার, মিয়া মো. মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আবুল খায়ের খাজা, এমজি ফারুক, আসাদুজ্জামান বাবুল, কোহিনুর মাহমুদ, মফিদুল ইসলাম মোহন, কাজী আমীর খসরু, খন্দকার জুলফিকার মতিন, প্রয়াত নেতার মেয়ে নাসরিন হাসান টিমা প্রমুখ।