বাগেরহাটের চিতলমারীতে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিজ বাড়িতে ওই মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর ছাত্রীটি ঘরের আড়ায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের আলামত জব্দ ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে হেফাজতে নিয়েছেন। পুলিশের একাধিক টিম অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস (৪৫) কে ধরতে মাঠে নেমেছেন। ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস পাঁচপাড়া গ্রামের রণজিৎ বিশ্বাসের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটির বাবা বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস আমাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি করোনাকালীন সাহায্য দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও মোবাইল নাম্বার চান। এ গুলো দিলে তিনি নিয়ে চলে যান। এরপর আমি ও আমার স্ত্রী ব্যবসার কাজে চিতলমারী সদর বাজারে যাই। ঘন্টা খানেক পরে বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রী দেখে ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ননী গোপাল বিশ্বাস ফিরে এসে আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের আলামত জব্দ ও নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে হেফাজতে নিয়েছি। পুলিশের একাধিক টিম অভিযুক্ত ননী গোপাল বিশ্বাসকে ধরতে মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই