খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর
  পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে দুদকে দুর্নীতির তদন্ত পুনরায় শুরু
  বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির ৩ মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু হচ্ছে
  ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু

কয়রায় প্রতারণা করে বৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন

কয়রা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খিরোল গ্রামের মোছাঃ জলেখা বিবি নামের এক বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা প্রতারণা করে উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান ও তার আপন ভাই আক্তার মোড়লের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকা জুড়ে মানুষের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ এ বিষয়ে বিধবা ভাতাভোগী জলেখা বিবির পুত্র আইয়ুব আলী মল্লিক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২১/১১/২৪) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট লিখিত অভিযোগ সূএে জানা গেছে, জলেখা বিবি আমাদী ইউনিয়ন পরিষদ হতে যাচাই-বাছাই হয়ে বয়স্ক ভাতা ধারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে তালিকায় টাকা পাওয়ার জন্য তার নগদ একাউন্টযুক্ত মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির ২১ মাস যাবৎ তার মোবাইলে বয়স্ক ভাতার টাকা পায়নি।

এ বিষয়ে ১ নং বিবাদী মেম্বার হাসানুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, আমার মায়ের নামে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়নি। আমরা জানাশুনা করে দেখি আমার মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকা ০১৯৫৪০৯৪৫৭৬ নং মোবাইল নম্বরে চলে যাচ্ছে। তখন আমরা উল্লেখিত নাম্বারটি যাচাই-বাছাই করি এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি এটা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের আপন ভাই আক্তার মোড়লের। তিনি প্রতারণা করে তার ভাইয়ের মোবাইলে ৭ কিস্তিতে মোট ১২ হাজার ৮১০ টাকা ঢুকেছে। সে প্রতারণা করে টাকাগুলো সব আত্মসাৎ করেছে। যার কারণে আমার মাতা বয়স্ক ভাতাধারী অভাব অনটনে কষ্ট পাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান প্রতারণা করে তার আপন ভাই আক্তার মোড়লকে মোবাইলে আমার মায়ের ৭ কিস্তির টাকা প্রদান করেছে। এদিকে তাদের পিতা মহিউদ্দিন মোড়ল বয়স্ক ভাতাধারী ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বয়স্ক ভাতাধারী থেকে তার নাম বাদ না দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছে বলেো অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি মোবাইল সংযোগ রিসিভ করেননি।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!