বর্ষাকাল দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। এ অবস্থায় চলে আসছে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমছে।
হেমন্তের এই সময়ে এসে আসি আসি করছে শীত। ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে কুয়াশাও। গ্রামে শীতের কাপড় নিয়ে অনেককেই বেরুতে দেখা যাচ্ছে বিকেলে। এমনকি রাজধানীতে সন্ধ্যায় অনেকের গায়ে শাল চোখে পড়ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই দিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আর রাতের তাপমাত্রা নেমে আসছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
রোববার (২৪ অক্টোবর) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে, ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদিন কোথাও বৃষ্টি না হলেও আকাশ ছিল হালকা মেঘময়। আগামী দু’দিনে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন দেখছে না আবহাওয়া অফিস। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে হালকা পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটির বর্ধিতাংশটি বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এই অবস্থায় সোমবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অবস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
খুলনা গেজেট/ টি আই