খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ পৌষ, ১৪৩১ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি
  উত্তরা ও তুরাগ নদ সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ
  ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস, ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ১০ বছরের কারাদণ্ড, পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন : হাইকোর্ট
  বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ৩; এ ঘটনায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

কবি এবাদুল্লাহ দক্ষিণের সাহিত্য জ্যোতি

ফরহাদ হুসাইন

আজ থেকে প্রায় দেড়’শ বছর আগের কথা, ১৮৭৩ সালের ২৫ ফেব্রয়ারী। খুলনা জেলার সর্ব দক্ষিণে কয়রা উপজেলার ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের কোলঘেঁষা অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের শেখ সরদার পাড়া গ্রামে এক বিস্ময়কর কাব্য প্রতিভার জন্ম হয়। কিংবদন্তিতুল্য এই কবির নাম এবাদুল্লাহ। স্বল্প শিক্ষিত এই কবির কাব্য সুষমা, ছন্দ-লালিত্য, অনুপম উপমা ও উৎপ্রেক্ষা অলংকার পাঠকমনকে মুগ্ধ করে তুলেছিল। প্রবাদ প্রবচনের মত মানুষের মুখে প্রচলন ছিল কবি এবাদুল্লাহ’র কবিতা।

দক্ষিণের সীমানা পেরিয়ে ভারতের ২৪ পরগনায় কবির পরিচিতি ছিল সমান ভাবে। তৎকালীন সামাজিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, সভা-সমাবেশে এমনকি বিবাহ অনুষ্ঠানে তার কবিতা পড়ে পরস্পর মালা বদল হতো। তৎকালীন সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদে জন্ম নেওয়া এই বিরল প্রতিভা সম্পন্ন কবির (১) ঝরাফুল (২)কাওসার (৩) মালঞ্চ (৪) মুক্তাহার ও (৫)জরুরী নসিহত নামে পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। সঠিক ভাবে সংরক্ষণের অভাবে দরিদ্র এই কবির মুক্তা সদৃশ মূল্যবান বইগুলো কালের গহ্বরে প্রায় সম্পূর্ণ হারাতে বসেছিল। এই অমর কবি জীবদ্দশায় পৃষ্টপোষকতার অভাবে দেশের আপামর মানুষের কাছে তার কাব্য সুষমা তুলে ধরতে পারেননি। শত বছর পর তার হারিয়ে যাওয়া দুষ্প্রাপ্য পাঁচখানা কাব্যগ্রন্থ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন এতদাঞ্চলের আর একজন খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক আ,ব,ম, আব্দুল মালেক।

সালেহিয়া লাইব্রেরীর সহায়তায় অবসর প্রাপ্ত এই অধ্যাপক “কবি এবাদুল্লাহ ও তার কাব্য সমগ্র” নামক বইটি সংকলন ও সম্পাদনা করে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি উত্তর বেদকাশীর ঐতিহাসিক কাছারি বাড়ির বৃক্ষমেলা মঞ্চে উক্ত গ্রন্থখানার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাহিত্যিক ও গবেষক আ,ব,ম, আব্দুল মালেক “কয়রা উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য মাওলানা হাবিবুল্লাহর জীবনী” সহ একাধিক গ্রন্থ রচনা করে মানুষের সুনাম কুড়িয়েছেন।

লেখকঃ কাতার প্রবাসী ও সংবাদকর্মী




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!