বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র মহা-পরিচালক, দেশ বরেণ্য শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার আনজীর লিটন বলেন, সমাজ পরিবর্তনে কবিতার ভুমিকা অনস্বীকার্য। কবিরা তার লেখার মধ্যদিয়ে সমাজের জঞ্জাল পরিস্কার করেন। প্রতিটি কবিতার মধ্যে এক ধরনের আহবান থাকে, প্রতিবাদ থাকে, দেশপ্রেম থাকে। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা বরাবরই শিল্পে, সাহিত্যে সমৃদ্ধ। এখানে অনেক গুনি লেখক, ছড়াকার রয়েছে।
‘পরিবেশের জন্য কবিতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের অদূরে ত্রিশমাইল এলাকায় অবস্থিত অগ্রগতি রিসোর্ট সেন্টার মিলনায়তনে কবিতা পরিষদ, সাতক্ষীরা আয়োজিত আষ্টাদশ কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কবিতা পরিষদ, সাতক্ষীরা’র সভাপতি মন্ময় মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিন পর্বের আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যব্যক্তিত্ব লেখক খায়রুল বাশার, ব্যবসায়ি ডা. আবুল কালাম বাবলা, কবি শেখ নুরুল ইসলাম ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কবি শুভ্র আহমেদ, নাজমুন নাহার, স.ম তুহিন, আমিনুর রশীদ, গুলশান আরা, সুকুমার দাশ বাচ্চু, নবকুমার ঢালী, একোব্বর হোসেন, দিলীপ কুমার দিব্যানন্দ, ছড়াকার আহমেদ সাব্বির, নুরুজ্জামান সাহেব, আবৃতি শিল্পি মনিরুজ্জামান ছট্টু, বাবলু ভঞ্জ চৌধুরীসহ বিভিন্ন কবিতানুরাগী ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উৎসবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লেখক কবি ও ছড়াকার অংশ নেন। উৎসবে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চারজন বিশিষ্টজনকে সম্মাননা পদক দেয়া হয়। তারা হলেন, সমাজসেবায় ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে লুৎফর চৌধুরী, কবিতায় সাহাবুদ্দীন ও এলিজা খাতুন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সেমিনার ও তৃতীয় পর্বে স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কবিতা পরিষদ, সাতক্ষীরা’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল।
গেজেট/ বিএমএস