বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরায় ‘জলবায়ু পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি এনজিও সংস্থা স্বদেশ ও এশয়িান পপিলস্ মুভমন্টে অন ডেভিট অ্যান্ড ডভেলেপমন্ট যৌথভাবে এ র্কমসূচরি আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ আবদুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, উদীচীর জেলা কমিটির সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ক্রিস্টেন্টের নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকী, উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, ক্লাইমেট এক্টিভিস্ট এস এম শাহিন বিল্লাহ প্রমুখ। পথসভাটি পরিচালনা করেন মানবাধিকারকর্মী ও স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।
সামবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা, খরা, বন্যা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে জীবিকা হারিয়ে প্রতি বছরই পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরণিত হচ্ছে। সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরের মানুষ প্রতিনিয়ত জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মানুষের রোগব্যাধি বাড়ছে। ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বণ নি:সরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে। তারা দাবি জানিয়ে বলেন, কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য উচ্চাভিলাষী পরকিল্পনা গ্রহণ, উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা ও জলবায়ুর কারণে ক্ষতি ও ধ্বংসের দায়-দায়ত্বি গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিত বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু-বিপদাপন্নদরে জন্য র্পযাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদশেকে সহায়তা করা, ২০৫০ সালরে মধ্যে র্কাবন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষপে গ্রহণ করা এবং টকেসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এএ