মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ’কপিলমুনির রাজাকার ক্যাম্প এবং কপিলমুনির যুদ্ধ এটি খুলনা জেলার মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মরণীয় অধ্যায়। সম্ভবত খুলনা জেলাতে এত বড় যুদ্ধ কোথায়ও হয়নি। সে হিসেবে আমি কপিলমুনিবাসীর সমর্থনে এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্তম্ভসহ স্বাধীনতা উদ্যান, মিউজিয়াম স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছি।’ এছাড়া আরো অনেক কিছু করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে সচিব জানান।
শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ খুলনার কপিলমুনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে খুলনা জেলার সর্ববৃহৎ যুদ্ধ এবং রাজাকার ক্যাম্প কপিলমুনির স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর বাড়ি যেটি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল সেই বাড়ির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সেই সময়কার বিভিন্ন কাহিনী মনোযোগ সহকারে শোনেন।
পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মত বিনিময়কালে সচিব আরো বলেন, ’প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর দেওয়া হবে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতি জেলা থেকে দুইজন করে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’ সচিব স্থানীয় বিরঙ্গনা গুরুদাশীর নাম গেজেট ভুক্ত করার ঘোষণা দেন।
এ সময় আরো বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ ও জামাল হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল, উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, সরদার গোলাম মোস্তফা, হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ দিদারুল ইসলাম ও সরদার ফারুখ আহমেদ, অধ্যক্ষ হবিবুল্ল্যাহ বাহার, প্রধান শিক্ষক শম্পা আক্তার, ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
খুলনা গেজেট/এনএম