দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অবশেষে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে। শনিবার (১৮ মে) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শারমিন সুলতানা লিলি ও সাধারণ সম্পাদক ডেইজি সরোয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যশোরে দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সংগঠন বিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলার অন্তর্গত সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক ফাতেমা আনোয়ারকে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন ফাতেমা আনোয়ার। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার ওই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার বহিষ্কার দাবি করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এরই প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বরাবরে পাঠানো হয়। এরই ভিত্তিতে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ জরুরি সভা করে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
বহিস্কারের সত্যতা স্বীকার করে যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনিন সোনালী বলেন, ফাতেমা আনোয়ারকে কেন্দ্র থেকে স্থায়ী বহিস্কারের চিঠি তিনি পেয়েছেন। তিনি এখন থেকে যশোর যুব মহিলা লীগের কেউ নন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ও বিরুপ মন্তব্য করায় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা আনোয়ারকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। যার চিঠি আমরা হাতে পেয়েছি।
উল্লেখ্য, এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর ফাতেমা আনোয়ার সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্টাট্যাস দেন। যা নিয়ে সেই সময়ে যশোরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওইসময়ে গুঞ্জন উঠেছিল ওই স্ট্যাটাস দেবার কারণে তাকে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। যদিও তার কোন ডকুমেন্টস জেলা যুব মহিলা লীগ বা আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/কেডি